কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাহিদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত জাহিদুলের পরিবারের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় সোমসপুর বাজারে নিহত জাহিদুল তার ছোট বউকে সঙ্গে করে কেনাকাটা করতে যায় । এক পর্যায়ে ছোট বউকে রেখে জাহিদুল অন্যত্র কেনাকাটা করছিল। সেখান থেকে তার বড় বউয়ের পরিবারের লোকজন জাহিদুলকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাকে মারপিট করে হত্যা করে । নিহত জাহিদুল চর জগন্নাথপুর গ্ৰামের আব্দুল গফুর প্রামানিকের ছেলে।
এই বিষয়ে নিহত জাহিদুল চাচাতো ভাই সালাম জানান, সোমসপুর বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওর বড় বউয়ের নির্দেশে জাহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। তারা আমার ভাইকে মারপিট করলে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং আমাদের ফোন করে যেতে বলে। জাহিদুলের বৃদ্ধ বাবা মা রাতে যেতে না পারায় সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় বড় বউ রেশমা ও তার মা ভ্যান যোগে জাহিদুলের লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।
জাহিদুলের ছোট বউ রুমা জানান, আমার স্বামী মারা গেছে আমি জানিই না। আমি গতকাল আমার স্বামীর সাথে খোকসার সোমসপুর বাজারে যাই, আমাকে রেখে সে কেনাকাটা করছিল। আমি অপেক্ষা করে অনেক খোঁজাখুজি কনি, অবশেষে না পেয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি। আজ এসে দেখছি আমার স্বামী বেঁচে নেই। আমি এর বিচার চাই।
জানাযায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে বড় বউ রেশমা জাহিদুলকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। খোকসার সন্তোষপুর আরশেদের মেয়ে রেশমা। সেখানে ৮ মাসের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। ডিভোর্সের পর নিহত জাহিদুল কুমারখালীর তারাপুর গ্রামে রুমা নামে এক মেয়েকে ২য় বিয়ে করেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। রাত হাওয়ায় এই মুহূর্তে লাশ মর্গে পাঠানো হয়নি। মঙ্গলবার সকালে লাশ মর্গে পাঠানো হবে। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।