সমস্যা সম্ভাবনা উন্নয়ন, এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখেই আমি সাংবাদিকতা করি। রাজনীতিবীদদের এখন একটি বিশেষ দিক লক্ষ করছি তা হলো- শাসন, শোষণ আর ভাষণ। তারা বেশ পাকা এই তিনটি বিষয়ে। মজার ব্যাপার হলো- আজ ভূরি ভূরি লেখক হয়েছে- পাঠক নেই, নেতা হয়েছে, দেশ প্রেমিক নেই ভাসানী – বঙ্গবন্ধু- ক্ষুদিরামের মত। কথা আছে, কাজ নেই। তার পরও চুপ থাকা যাবে না। তাই আমি হাজির হয়েছি একজন নেতার সন্ধানে।
নেতা কি বা কেমন হওয়া উচিত! নেতার জন্ম হয় নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে, আর নেতৃত্বের জন্ম হয় ঘটনার প্রেক্ষিতে। আর ঘটনার জন্ম হয় পরিবর্তনে। পরিবর্তন হতে পারে অনেক প্রকার। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে বাধাবিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ঠিক তখন নেতৃত্বের আবির্ভাব থেকে নেতার হয় জন্ম। আমি মনে করি একজন ভালো নেতা হতে হলে প্রথমে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। তার মধ্যে দায়িত্বশীলতা, দায়বদ্ধতা ও সততা থাকতে হবে। তার প্রতিশ্রুতি, ইতিবাচক মনোভাব, অনুপ্রেরণা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার গুণাগুণের সঙ্গে থাকতে হবে প্রতিনিধিত্ব এবং আস্থা। এসব গুণাবলি খুবই দরকার একজন ভালো নেতার জন্য। আজ কিছুসংখ্যক নেতার কথা তুলে ধরব, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন মানবজাতিকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে আন্দোলিত করেছেন। যেমন-
মাও সেতুং: কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না। স্বামী বিবেকানন্দ: জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না। মহাত্মা গান্ধী: অসহযোগ আন্দোলন। নেলসন ম্যান্ডেলা: বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
পাঠক, আমি আজ ওপরের নেতাদের নয়, তুলে ধরব এক ভিন্নধর্মী নেতাকে। এ ধরনের নেতারা মানবকল্যাণে এসেছেন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে। আমি এ যুগের তেমন একজন ভিন্নধর্মী নেতাকে তুলে ধরছি, যার নাম মিজানুর রহমান মিজান। যিনি মিজান চেয়ারম্যান নামে আজ খ্যাত। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তিনি। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা। দক্ষতা, নেতৃত্ব, তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ, দলীয় কাজ বাস্তবায়নসহ নানাবিধ চেষ্টা-প্রচেষ্টায় তিনি উঠে এসেছেন। জনগনের মনে করে নিয়েছেন স্থান। বাড়ছে জনপ্রিয়তা। আর এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়ে উঠছে। তিনি সবার নেতা এটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। নিজের আখের গোছানো নিজ দলীয় অনেকেই তার এই জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর এটা দেশ সমাজ জাতি বা দলের জন্য মোটেও সুখকর নয়। ফুল ফুটেছে, তাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ঘ্রাণ ছড়াতে না পারলে আর তৈরি হবেনা বঙ্গবন্ধু, মিয়াভাই, ভাসানী বা ক্ষুদিরাম, সূযসেনরা।