বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর ৯০ বছর পুর্তিতে নারী লাঠিয়ালদের নিয়ে শনিবার কুষ্টিয়ায় “পুনর্মিলনী ও লাঠি খেলা উৎসব” অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমীর উম্মুক্ত মঞ্চে পুনর্মমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। বিশেষ অতিথি থাকবেন উবিনীগ ঢাকার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, তোফাজ্জেল হেলথ ক্লিনিক পরিচালক ডাঃ আসমা জাহান লিজা ও কবি নজরুল ইসলাম সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. নুরুন নাহার লিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা: শাহানা আক্তার চৌধুরী। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য লাঠিখেলার অপরিসীম গুরুত্ব নিয়ে এবার শুধুমাত্র মেয়ে লাঠি খেলোয়াড়দের অংশ গ্রহনে এই আয়োজন।উৎসব অনুষ্ঠানে নারী লাঠিয়ালদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হবে। তাদের সম্মানিত করতে বিভিন্ন রকমের আয়োজন থাকবে অনুষ্ঠানে। কুষ্টিয়া, মাগুরা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ি, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক নারী লাঠিয়াল আমাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়। নারীরক্ষ মতায়ন এবং লাঠিখেলার সাথে নারীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মানুষের অজানা বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নারী লাঠিয়ালদের তাদের সম্মান প্রদর্শন, সেই সাথে লাঠি খেলায় নারীদের আরো বেশি সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন।
শনিবার সকালে গাছের চারা রোপনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। পরে কেক কাটা হবে। বিকেল ৩টায় নারী লাঠিয়ালদের অংশগ্রহনে নানান রঙে রাঙ্গিয়ে তোলা মহিলা লাঠিয়ালদের নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। র্যালী শেষে শিল্পকলা একাডেমীর উম্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা ও লাঠি খেলা প্রদর্শিত হবে।
আয়োজকেরা জানান, লাঠি খেলাকে আমাদের শিল্প ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এই খেলাকে গ্রাম থেকে শহর, দেশ থেকে দেশান্তরে পৌছে দিতে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ সিরাজুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা তার উত্তরসুরী হিসেবে এই খেলাকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি আদায় ও জাতীয় পর্যায়ে এই খেলার আয়োজনের প্রাথমিক পর্যায়ে এই আয়োজন।