কুষ্টিয়ায় নাসিং ইন্সটিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (তুলি) নামে এক ছাত্রীর রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া মজমপুর জিলা স্কুলের সামনে মজিফ উদ্দিন বিশ্বাস লেনের একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া মোল্লাপাড়ার ওয়াহিদুল ইসলামের মেয়ে।
এ বিষয়ে ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী মিতা বলেন ৬ সাড়ে ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে কুষ্টিয়া জজকোর্টের এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান (সুমন) ৩য় তলা ফ্ল্যাটটি এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবেন বলে ভাড়া নেন। একমাস পর ঐ এ্যাডভোকেট গত সপ্তাহ আগে বিয়ে করেন। দুপুরের দিকে তুলি বোরকা পড়ে এ্যাভোকেটের বাসায় প্রায় দিনে আসেন তবে কি কারণে আসেন সেটা বলতে পারবেন না। সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি একটি মেয়ে তৃতীয় তলাতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে এ্যাডভোকেটের লোকজন তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে মৃতার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে নিহত ছাত্রীর বোন বলেন তার বোন বাঁধে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হন। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি তার বোন হাসপাতালে মারা গেছে। তিনি আরও বলেন তার বোনের মৃত্যুর জন্য এ্যাডভোকেটসহ তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে তিনি দাবী করেন।
তবে এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান (সুমন) কাছে বিষয়টি জানার জন্য মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি কেটে দেন। পরে ফোন বন্ধ করে দেন।
এ বিষয় কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ বিষয় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। যদি নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোন অভিযোগ বা মামলা করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।