• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে গত ১ বছরে সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার ও মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা / ৩৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

মাদকের সাম্রাজ্য বলে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থানা পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ(ডিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

দৌলতপুর উপজেলাটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী হওয়াতে এখানে মাদকের বিস্তার অনেক বেশি। বিশেষ করে এই উপজেলার তেকালা, ধর্মদহ, প্রাগপুর, মহিষকুন্ডি, জামালপুর, রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর, মরিচা, সাদিপুর, কল্যাণপুর, জয়রামপুর, খলিসাকুন্ডি, উপজেলা পরিষদ পাড়া, দৌলতখালী, গাছের দিয়াড়, শেরপুর, মৌবাড়িয়াতে মাদকদ্রব্য কেনা-বেচা হয়। এই ব্যবসাতে সেল্টার দিচ্ছেন কিছু জনপ্রতিনিধি। আবার অনেক জনপ্রতিনিধি সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

মাদক ব্যবসায়িদের থেকে নিয়মিত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ আছে কিছু অসাধু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে, এই অভিযোগ বহু পুরনো। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে অনেক মাদক ব্যবসায়ী আবার সেজেছেন সাংবাদিক!

গেল দুই মাসে দৌলতপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেনসিডিল, গাজা, ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, অস্ত্র ও গুলি।

গত ১ বছরে সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার ও মামলা সেপ্টেম্বর মাসে।

গেল আগস্ট মাসে উদ্ধার হয়েছে হেরোইন- ০১ গ্রাম, ফেনসিডিল- ২০৬ বোতল, গাজা- ৮ কেজি ৬০০ গ্রাম, গাজার গাছ- ১০ টি(ওজন-৯২ কেজি), ইয়াবা ট্যাবলেট- ১৯২৫ পিচ, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট- ১৬৩৪ পিচ, মদ- ৭০ বোতল। মাদক মামলা হয়েছে ২৭ টি এবং আসামী আটক হয়েছে ৩৪ জন।

সেপ্টেম্বর মাসে উদ্ধার হয়েছে হেরোইন- ৩৫ গ্রাম, ফেনসিডিল- ৩৬৬ বোতল, গাজা- ৩১২ কেজি (গাজার ২০ টি গাছ সহ), ইয়াবা- ২৪০ পিচ, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট- ৬২০ পিচ, মদ- ০৩ বোতল। মাদক মামলা হয়েছে ৩৭ টি এবং আসামী আটক হয়েছে ৩৭ জন। এছাড়াও ০২ টি পিস্তল, ০২ টি ওয়ান সুটারগান এবং ০৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক সংশ্লিষ্টদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের যুব সমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে পুলিশ আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা-দৌলতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ বলেন, মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। আপনারা জানেন গত ১ বছরের ভিতরে ( সেপ্টেম্বর) মাসে সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার ও মামলা হয়েছে দৌলতপুর থানায়। সেই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ