• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

অক্টোবরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে রাজনৈতিক মাঠ

অনলাইন ডেক্স / ৩৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

চলতি অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছাড়াতে পারে এমনটাই ধারনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির এ দাবিকে অসংবিধানিক বলছে। ফলে এ নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে নভেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ফলে রাজনীতির মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অক্টোবর মাস। কারণ এ মাসেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি। অন্যদিকে সরকার চায় কোনোরকমে আন্দোলন সামাল দিয়ে মাসটি পার করতে।

চলতি মাসকে ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সঙ্গে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও। তবে সাধারণ মানুষের চোখ এখন বিএনপির আন্দোলনের দিকে।

অক্টোবরকে ঘিরে বিএনপির পরিকল্পনার মধ্যে যা রয়েছে- আগামী ৫ অক্টোবরের পর থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়া বাইরে বেশি কর্মসূচি না দেওয়া। কারণ এখন শুধু তারা ঢাকাতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এগোচ্ছে। সেই লক্ষ্যে আগামী ১৮, ১৯, ২০ অক্টোবরের যে কোনো একদিন ঢাকায় মহাসমাবেশের পরিকল্পনা আছে বিএনপির। এছাড়া আগামী দিনে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে আন্দোলনে শামিল হতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

গতকাল বিএনপির ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডমার্চে তিনি বলেন, নিজের ভোট নিজে দিতে চাইলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনে এই লড়াই হবে, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।

এদিকে বৈদেশিক চাপ মাথায় নিয়ে কৌশলে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। চলতি মাসে চারটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন সামনে রেখে বড় মহড়া দিতে চায় দলটি। সে লক্ষ্যে ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি সড়কপথে মাওয়া যাবেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।

এছাড়া ২৩ অক্টোবর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হবে। ওই দিন মতিঝিলে সুধী সমাবেশ। আগাগী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও সুধী সমাবেশ করা হবে। এ ছাড়া মাসের মাঝামাঝি সময়ে গণভবনে নারী সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। একই সঙ্গে তফসিল ঘোষণার পরে দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

অক্টোবরে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার ব্যাপারে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, আমরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। সব পরিস্থিতি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কারণ ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ কখনো পাত্তা দেয়নি, আর দেবেও না।

অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেমন সাধারণ মানুষের মনে শঙ্কা আছে। তেমনটা ভাবছেন বিশ্লেষকরাও। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতার সংস্কৃতি বিরাজমান। সে হিসেবে এ মাসে যদি রাজনৈতিক শক্তিগুলো মুখোমুখি হয়, তাহলে সহিংসতার পূর্বাভাস পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ