কি আর কবো, ওই বিটার বউডা ভালো না,আমার ছেলিটা নি যায়ি এ সর্বনাশ করচে এভাবে ফুুপাচ্ছিলেন আর কেঁদে কেঁদে প্রতিবেদককে ঘটনার বিবৃতি দিচ্ছিলেন সজীবের বাবা । সজীবের আত্মহত্যার ঘটনায় যেন কোন ভাবেই থামছে না বাবার আর্তনাদ।
সজীব-সোহেলীর সাত বছরের সংসারে রয়েছে ফুটফুটে ৬ বছরের ছেলে সন্তান তবুও সোহেলী পরকীয়ার জেরে ইতি টেনেছেন তাদের দাম্পত্য জীবনের। এ ঘটনায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন যশোরের জিগরগাছা থানার হাজিরআলী গ্রামের সিরাজের ছেলে সজীব। তিনি কুষ্টিয়া ভাদালিয়া স্বস্তিপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। নিহত যুবক আউটসোর্সিং এর কাজে কর্মরত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের সোহেলীর সাথে ৭ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সজীবের। পারিবারিক কলহের জেরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া স্বস্তিপুর এলাকায় আরিফ উদ্দিনের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকতেন। সহধর্মিনী সোহেলী গেল সপ্তাহে বাবার বাড়ি গিয়ে তালাক দেওয়ায় রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) রাত ১ টায় ভাড়া নেওয়া বাসা বাড়ির নিজ কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সকালে প্রতিবেশী ডাকাডাকি করে কারো খোঁজ না পেলে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন যুবকের জ্বলন্ত মরদেহ । এলাকাবাসী বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেন
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।