• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

কুমারখালীতে যুবককে বিবস্ত্র করে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব সংবাদদাতা / ৪৭ Time View
Update : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক যুবককে পদ্মার চরে নিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের পর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি মঙ্গলবার ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুই কিশোর গাঢাকা দিয়েছে। তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘুটঘুটে অন্ধকারে মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে একজন ভিডিও ধারণ করছে। অপরজন টাকা ফেরত চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও ধাতব লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারধর করছে। মারধরের ভিডিও দিয়ে টিকটক বানানো হবে বলে ভিডিওর কথোপকথনে শোনা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে বাজারে চা পান করতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এক কিশোর আরেক কিশোরকে তার গায়ের ওপর ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর দু’জন তাদের পকেট থেকে ৫০০ টাকা চুরির অপবাদ দেয় তাকে। এ নিয়ে তাদের বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই যুবক। সে সময় দুই কিশোর তাকে জোরপূর্বক সিগারেট টানায় এবং সড়ক থেকে তুলে নৌকায় করে পদ্মা নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করে এবং ভিডিও করতে থাকে। সে সময় তিন জেলে চলে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন জেলেরা।
অভিযুক্ত এক কিশোরের মা বলেন, টাকা চুরি নিয়ে তার ছেলের সঙ্গে ওই যুবকের মারামারির ঘটনা শুনেছেন। তবে ছেলে আর বাড়ি না ফেরায় আসল ঘটনা তিনি জানতে পারেননি। আরেক কিশোরের ভাই বলেন, তার ভাই অন্যায় করেছে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত প্রত্যাশা করেন।

জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকী বাদশা বলেন, ওই যুবককে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। তিনিও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
কুমারখালী থানার এসআই প্রদীপ বিশ্বাস জানান, মারধর ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী যুবক দিনমজুর। অভিযুক্ত কিশোররা একই এলাকার বাসিন্দা ও ইটভাটার শ্রমিক। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ