• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

ইবি কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতি, আন্দোলন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভক্তি

অনলাইন ডেক্স / ৩৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

চাকরির বয়সসীমা বৃদ্বিসহ নানা দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। এছাড়া ১৬ দফা দাবিতে ২ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এদিকে আন্দোলন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কর্মকর্তাদের একাংশ। অন্যদিকে আপত্তিকারীদের ‘প্রশাসনের অবৈধ সুবিধাভোগী’ আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

এর আগে ভার্তি পরীক্ষায় পাশ না করলেও পোষ্য কোটাধারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দাবিতে গত ২৬ জুন থেকে আন্দোলন শুরু করেন কর্মকর্তারা। এ দাবিতে কয়েকদিন কর্মবিরতি পালন করেন তারা। পরে ২৮ আগস্ট ভিসির কাছে পোষ্য কোটার শর্ত শিথিল এবং চাকরির সময়সীমা বৃদ্ধিসহ ১৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। পরে ২ সেপ্টেম্বর থেকে এ দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন কর্মকর্তারা।

গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দফতর প্রধানদের নিয়ে আলোচনা সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সাথে কোন প্রোগ্রামে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা সমিতির নেতারা। তবে শনিবার সমিতির নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসনের সাথে আলোচনা সভায় অংশ নেয় কিছু দফতর প্রধান ও কর্মকর্তারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন অন্য কর্মকর্তারা। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাকাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।

প্রশাসনের সাথে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী পক্ষ জানায়, আন্দোলনকারীদের ভাষাগত ত্রুটি ও আন্দোলনের প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ তাদের।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুর রহমান বলেন, ‘তারা আন্দোলনের মধ্যে যে ভাষা ব্যবহার করছেন তা কর্মকর্তাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় না করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছেন। আমরা ১৬ দফা দাবির সাথে একমত। আমরা আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করতে চাই, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরকার বিরোধী মুভমেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন।’

এদিকে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আন্দোলন বিরোধী পক্ষ প্রশাসনের সাথে থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছে। চাকরির বয়সসীমা না বাড়লে সিনিয়র কয়েকজন কর্মকর্তা অবসরে যাবে, সেসব পদে যাওয়ার প্রত্যাশায় তারা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছি। এটা কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা আমাদের কর্মে ফিরে যাব। কিন্তু আগামী শনিবারের মধ্যে দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ