বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, গ্রেফতার ও জুলুম করে জনগণের আন্দোলনকে দুর্বল করা যাবে না।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় বাধা, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু হওয়ার পূর্বেই ১৫ জন নেতা কর্মীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, আগের রাতে ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি কফিল উদ্দিনসহ প্রায় সাতজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও ঠাকুরগাঁও জেলা সেক্রেটারি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসনের বাসায় গভীর রাতে তল্লাশীর নামে বাসার জিনিসপত্র নষ্ট, আলমগীর হোসেনকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েদের তুলে আনার হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ওই বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজেদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করে বিরোধীদল মত ও সাধারণ জনগণের ওপর অব্যাহত জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং-মিছিল ও সমাবেশ করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের এটা সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশে সংবিধানের ৩৬ নম্বর, ৩৭ নম্বর ও ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদে যথাক্রমে নাগরিকের চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতের কোনো স্বৈরাচারী জালেম সরকার যেমন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দুর্বল করা যাবে না। জুলুম-নিপীড়ন যত বৃদ্ধি পাবে নেতৃবৃন্দের মুক্তি, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ জনগণের সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলন ততো বেগবান হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, জনগণ দেখছে পুলিশ মিথ্যা মামলা সাঁজানোর জন্য নিজেরাই বস্তায় লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র দা ও ছুরি বহণ করে নিয়ে এসে বাসা থেকে উদ্ধার করেছে। এটা প্রমাণ করার জন্য আলমগীর হোসেনের স্ত্রীর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে রাস্তায় থাকা এক পথচারী ব্যক্তির স্বাক্ষর নেয়। এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুসংখ্যক অতি উৎসাহী সদস্যকে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। মনে রাখতে হবে, কোনো দল চিরদিন ক্ষমতায় থাকে না। জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতনের ফল কখনই ভালো হয় না। সাবধান হোন নচেৎ জনগণ আপনাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি