প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতি ছাড়া কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে এসব বিদ্যালয়কে আইনের আওতায় আনতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, দেশে প্রায় ৪৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ বিদ্যালয় নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতি ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। নীতিমালা প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতির আবেদন না করা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালাটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এসেছে, আগামী সপ্তাহে তা জারি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকেও এই নীতিমালার আওতায় আসতে হবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি স্বচ্ছ করা হয়েছে।
তবে, শুধু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো এই নীতিমালার বাইরে থাকবে।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায় থেকে এসব অনুমোদন পাওয়া যাবে। গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি ও ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে হবে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিনামূল্যের বই বাধ্যতামূলক পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হব জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এর বাইরে অন্য যে কোনো বই পড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বেতন নির্ধারণের জন্যও আবেদন করতে হবে। মন্ত্রণালয় তা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেবে।