• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

‘সাইবার নিরাপত্তা বিল’ সংসদে, জাপার আপত্তি

Reporter Name / ৪০ Time View
Update : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

‘সাইবার নিরাপত্তা বিল, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী পলক বিলটি তোলেন।

বিলটি উত্থাপনের শুরুতে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, অংশীজনরা এই বিলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সঙ্গে প্রস্তাবিত আইনের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। প্রস্তাবিত আইনকে টিআইবি কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মঙ্গলবার সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

বিল উত্থাপনকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘রূপকল্প-২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার আলোকে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও এসব অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন ও এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ রহিতক্রমে বাস্তবতার নিরিখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইবার কার্যক্রমের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আইনের আওতায় বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রদান এবং সাইবার ঝুঁকি ও হুমকিগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কীকরণ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণই এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অর্জিত সাফল্যগুলোকে ধরে রাখা, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি সেক্টরের ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ