শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের নিজস্ব চেক লিস্ট জালিয়াতি করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিদর্শক, মামলার বাদিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করাসহ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে মামলার বাদি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে জেরা করার সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন মৌখিকভাবে এ আবেদন করেন। তবে আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করার কথা বলেন। এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী লিখিত আবেদন করার জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন।
জেরার সময় আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন আদালতে বলেন, আদালতের কাছে আবেদন জানাবো একজন নোবেলজয়ীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর জন্য জালিয়াতি করার অপরাধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের মহাপরিদর্শকসহ যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে। তিনি আরো বলেন, এই জালিয়াতি স্বীকার করার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এ সময় আদালত বলেন, জালিয়াতি হয়েছে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
এ সময় আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন মামলার বাদিকে প্রশ্ন করেন আপনি জালিয়াতি করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন? জবাবে মামলার বাদি বলেন, সঠিক নয়।
শুনানির এক পর্যায়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী বাদির কাছে জানতে চান, আপনি যখন কোথাও পরিদর্শনে যান, তখন মালিক পক্ষকে জব্দ তালিকা বা চেক লিস্ট দেন। জবাবে পরিদর্শক বলেন চাইলে এক কপি দেই। তখন ইউনূসের আইনজীবী বলেন, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মালিক পক্ষকে কি কোনো জব্দ তালিকা বা চেক লিস্ট দিয়েছেন। জবাবে বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তখন ইউনূসের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মালিক পক্ষকে দেয়া চেক লিস্ট আর কোর্টে দেয়া চেক লিস্টের মিল নেই। এ সময় তিনি আদালতের কাছে এই মামলার বর্তমান বাদিসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারির আরজি জানান। জবাবে আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন।