আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামানিকের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জহুরুল ইসলাম জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সঞ্জয়ের ছোট ভাই সম্পদ সকালে মোবাইল ফোনে আমাকে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি ভেড়ামারা গোডাউন মোড় এলাকায় পৌঁছালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তার পায়ে ও মাথায় মারাত্মক জখম হয়। এ সময় তার সাথে থাকা বেলাল হোসেন (৩৬) ও শ্যামল সরদার নামে আরো দু’জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরে তাকে (সঞ্জয়) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনার পরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। হামলার পরদিন সঞ্জয়ের স্ত্রী বিথী রাণীদে থানায় মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে দলীয় নেতাকর্মী, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। এসময় একটা তিনতলা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ ঘটনায় ভেড়ামারা উত্তাল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর এ ঘটনার বিচারের দাবিতে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
নিহতের স্বজন ও বিক্ষোভকারীরা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শোভন ও তার লোকজন সঞ্জয়কে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানাচ্ছি। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ যেন ছাড় না পা
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় মুস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন মন্দির পরিচালনা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক ও তার সঙ্গে থাকা বেলাল হোসেন ও শ্যামলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সঞ্জয়ের পায়ে গুলি লাগে। এসময় তাকে কুপিয়েও জখম করা হয়। এতে বেলাল ও শ্যামলও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে সঞ্জয় মারা গেছেন। এ ঘটনায় সকাল থেকে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে ভেড়ামারা। রাস্তায় টায়ার জ্বলছে, একটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানা পুলিশ প্রধান আসামি মুস্তাফিজুর রহমান শোভনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কোপায় ও গুলি করে। এতে সঞ্জয়, বেলাল ও শ্যামল গুরুতর আহত হয়।